দোহার নবাবগঞ্জে ২৩ ইউপি চেয়ারম্যানের বাসায় হামলা ভাংচুর ও আগুন
Share your love
সংবাদদাতা,নবাবগঞ্জ,ঢাকা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর পরই ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি, নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর, আগলা, কৈলাইল, গালিমপুর,বান্দুরাসহ একাধিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ব্যাপক ভাংচুর হয়েছে। দোহার নয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ মিয়ার বাড়ীতে ও অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। শহিদ বলেন, সে প্রাণ বাঁচাতে পরিবারসহ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। দোহার নবাবগঞ্জে ২৩ ইউপি চেয়ারম্যানের বাসায় হামলা ভাংচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মাহমুদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী বলেন, এলাকার কিছু দুর্বৃত্তরা তাঁর বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করেছে। তাঁকেও মারতে খুঁজতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে নিরাদে চলে যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের বাগান বাড়ি, জয়কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেশমা আক্তার, কৈলাইল ইউপি চেয়ারম্যান বসির উদ্দিন, জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজল আক্তার, যন্ত্রাইল যুব লীগ নেতা অনুপম দত্ত নিপুর ঘরবাড়ি ভাংচুরসহ গালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমের বাড়িতে ভাংচুর হয়। এসময় তাঁরা
বেশ কিছু ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ভাংচুর হয়। নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীগের একাধিক নেতাকর্মী অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি,জামাতের লোকজনসহ বেশকিছু অপরিচিত উত্তেজিত লোকজন নবাবগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে তাঁদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। হামলাকারীরা এসময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ করে ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে বলে জানায় তাঁরা। স্থানীয়রা জানায়, দোহারের ৮ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র এবং নবাবগঞ্জে ১৪ ইউপি চেয়ারম্যানের বাসায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব পরিবারের কেউ এলাকায় নেই বলে প্রতিবেশীরা জানায়।