Breaking News



Popular News



Enter your email address below and subscribe to our newsletter
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে তিনটি ইউনিয়নের অন্তত প্রায় ১৫ টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন গ্রামে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার বুড়াইচ,পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। ঝড়ের সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় এ সব ইউনিয়নের কয়েকট গ্রাম।
পাকুড়িয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত হারুন মোল্যা জানান, ভয়াবহ ঝড়ে আমার বসতঘরসহ তিনটি ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।আমার স্ত্রী ও নাতি ঘরের চাপায় পড়ে আহত হয়েছে।
বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া এলাকার ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে পাকুড়িয়া গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও জয়দেবপুর,শিয়ালদি,পানিগাতিসহ আরও কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ হারুন অর রশীদ বলেন, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, , টাবনী, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মশুর, ধনিয়া, ধান, গমের ক্ষেতসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়া গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় আছি। তবে শুনেছি আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বানা বুড়াইচ ইউনিয়নে ঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।
বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু বলেন, বুধবার রাত একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে আমার ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী আরও দুটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক কাঁচা-আধাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীন জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।