Enter your email address below and subscribe to our newsletter

মৈনট ঘাট: বাড়ির কাছের মিনি কক্সবাজার এখন বাস ও বালু ব্যবসায়ীদের দখলে

Share your love

নিজস্ব প্রতিনিধি
ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনটঘাটখ্যাত মিনিকক্সবাজার জনগণের বিনোদনের একটি অন্যতম স্থান। বাড়ির কাছের মিনিকক্সবাজার তাই স্থানীয় লোকজন ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পরিবারপরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন এখানে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এ বিনোদন স্থানটি ইটবালু ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিকদের দখলে এমন দাবি ভ্রমণপিয়াসু জনসাধারণের।

সরেজমিনে দেখা য়ায়
এখানে আসলে সমুদ্রের বেলাভূমির খানিকটা আভাস মেলে। দিগন্ত ছুঁয়ে থাকা পদ্মার উত্তাল ঢেউয়ের মাথায় দুলতে থাকা নৌকা, প্রায় ডুবুডুবু স্পিডবোটের ছুটে চলা, পাড়ে সারিবদ্ধ বাহারি রঙের ছাতার তলায় পেতে রাখা হেলান-চেয়ার। ঘাটের কাছাকাছি বিভিন্ন মুদিদোকান ও হোটেল। সেগুলোর সাইনবোর্ডে ঘাটের পরিচিতি ‘মিনি কক্সবাজার’।

কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনের নজরদারি অভাবে মৈনটঘাট মিনিকক্সবাজার তার জৌলস হারিয়েছে। রাস্তার দুই পাশে বালুর স্তুপ ও যমুনা পরিবহনের ও দ্রুত পরিবহন বাস পার্কিং করে সকল সৌন্দর্য বিলীন করে ফেলেছে এমনটাই দাবি ভ্রমণ পিপাসুদের।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায় পদ্মা নদী বাম তীর সংরক্ষণ ও নদী শাসন পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সেনাবাহিনীর দক্ষকর্ম যজ্ঞের কারনে মেরিন ড্রাইভ এর কাজ চলছে।। যা ইতোমধ্যে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ও প্রশংসিত হয়েছে।

একটি সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে এখানে বালু ড্রেজার ব্যবসায়ীসহ রাস্তার দুই পাশে যত্রতত্র বাস পার্কিং করে রাখার কারনে আধা কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা। সকাল ৫ টা থেকে শুরু হয় পার্কিং করা ১০/১৫ টি বাসের ধোয়ামোছার কাজ। এতে বিভিন্ন যায়গায় পানি জমা হয়ে কাঁদায় পরিনত হয়। ছোট-বড় যানবাহন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৈনটঘাটের সকালবেলার মাছের (আড়ৎ) বাজারে আসা মানুষকে দূভের্োগ পোহাতে হয় । যা দেখার কেউ নাই।
এছাড়াও মৈনটঘাটের অপরপ্রান্ত ফরিদপুর জেলার শরিয়ত পুর থেকে লঞ্চে ও টলার স্পিডবোট করে আসা যাত্রী সাধারণ ও মৈনটঘাটে আসা ভ্রমণ পিয়াসু জনসাধারনের পোষাক ধুলো বালুতে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে অনেকেই এখন আগ্রহ হারাচ্ছেন মৈনটঘাটে আসতে।

[৭:৪১ চগ, ৩/২২/২০২৪] ংধফবৎযড়ংংবরহনড়ষঁ: মিনি কক্সবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন,ইট বালু ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিকদের দাপটে সৌন্দর্য হারাচ্ছে দোহারের মৈনটঘাটের মিনি-কক্সবাজারে। এছাড়া স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ইট,বালু আর বাসের কারনে এখানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তারা স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি দাবি জানান।

এ বিষয়ে স্থানীয় মাহমুদ পুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী বলেন, নদীর পাড়ে অনেকেই খালি জায়গা পেয়ে ব্যবসা করেন। এছাড়া বিভিন্ন পরিবহনে করে লোকজন আসেন এখানে পদ্মা নদী দেখতে। মৈনটঘাটের মিনি-কক্সবাজারে সৌন্দর্য রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Împărtășește-ți dragostea
Azh@r_news
Azh@r_news
Articole: 146

Lasă un răspuns

Adresa ta de email nu va fi publicată. Câmpurile obligatorii sunt marcate cu *

Stay informed and not overwhelmed, subscribe now!