Breaking News



Popular News



Enter your email address below and subscribe to our newsletter
নরসিংদীর রায়পুরায় বন্ধুদের সঙ্গে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্র সৈকত দাসের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজ হওয়ার ১৯ ঘণ্টা পর সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এর আগে রোববার বিকেল ৩টায় উপজেলার আমিরগঞ্জের আটকান্দি নীলকুঠি এলাকার মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় ওই শিক্ষার্থী।
নিহত সৈকত দাস মনোহরদী উপজেলার তেছরি এলাকার রাষ মহন দাসের ছেলে এবং স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৈকত নরসিংদী শহরের ঘোড়াদিয়ায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে রোববার দুপুরে ১১ জন বন্ধুর সঙ্গে রায়পুরা উপজেলার আটকান্দি নীলকুঠি এলাকায় যায়। একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে সৈকতসহ তাঁর বন্ধুরা ওই এলাকার মেঘনা নদীতে গোসল করতে নামে। ওই সময় তার বন্ধুরা গোসল শেষে পাড়ে উঠতে পারলেও সাঁতার না জানায় পানিতে তলিয়ে যায় সৈকত। পরে স্থানীয় মেম্বার আবু বক্করকে বিষয়টি জানালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চান তিনি।
এদিকে খবর পেয়ে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে রাত হয়ে যায়। অন্ধকার পরিবেশের কারণে উদ্ধার অভিযান না করেই ফিরে যান তারা। পরদিন সোমবার সকালে নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে নদীতে নামে ডুবুরি দল। সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ শিক্ষার্থী সৈকতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আমিরগঞ্জ ইউপি মেম্বার আবু বক্কর জানান, সন্ধ্যায় খবর পাই সৈকত নামে এক শিক্ষার্থী নদীতে ডুবে গেছে। পরে ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল আসতে রাত হয়ে যায়। এ কারণে আজ অভিযান চালায় তারা। সকালে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
আমিরগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।