Breaking News



Popular News




Enter your email address below and subscribe to our newsletter
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকার পাশেই দোহার ও নবাবগঞ্জ দুটিই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ উপজেলা। নির্বাচন মানেই এখানে জনপ্রিয়তার সাথে অর্থের একটা হিসেব নিকেশ থেকেই যায়। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনে এ আসনের দিকে তাকিয়ে থাকে সারাদেশ। কারণ ৮০ দশকের পর হতে বরাবরই এখানে বিত্তশালীরা প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করে আলোচনায় এসেছে। তার ধারাবাহিকতায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন। তবে নির্বাচনে লড়াই হবে আওয়ামীলীগ বনাম আওয়ামীলীগ। এখানে দোহার উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্রালয়ের এক সময়ের মেধাবী ছাত্র নেতা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায় মেহবুব কবির এবং মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ফারুক উজ্জামান(ফারুক পেশকার)।
এদিকে নবাবগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মাঠে আছেন ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, ঢাবির সাবেক ছাত্র নেতা যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন এবং এনাম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. বাবুল মিয়া।
দোহার উপজেলা: পদ্মা নদীর তীর ঘেষে গড়ে উঠা দোহার উপজেলায় ৮ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। এখানে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২লক্ষ ১৪ হাজার ২৬১। প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় নারী ভোটার সংখ্যা বেশী। এছাড়া বিএনপি নির্বাচনে না এলেও তাদের ভোটার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। তিন জন প্রার্থীই এখানে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন আলমগীর হোসেনকে তাদের সমর্থন দিয়েছে। তিনি রাত দিন নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটের মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের সিংহভাগই আলমগীর হোসেনের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহযোগিতা ছিলো।
সেই বিবেচনায় তিনি এদের সমর্থন ও পাশে পাবেন বলে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী। অপরদিকে মেহবুব কবিরকে সমর্থন দিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ আওয়ামীলীগের বেশ কিছু বঞ্চিত নেতা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দোহার উপজেলা সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, সাবেক সহসভাপতি আলাউদ্দিন মোল্লা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন দরানী, শামীম আহমেদ হান্নান, যুবলীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আকন্দ। মেহবুবকে নিয়ে তারাও জয়ের বিষয়ে অনেকটা চ্যালেঞ্জমুখী। কারণ প্রকৌশলী মেহবুব কবির এর আগে ২০১৪ সালে ও ২০১৫ সালের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। অন্যদিকে ফারুক পেশকার তৃণমূল কিছু নেতা কর্মীর সমর্থন ও দোহারের পশ্চিম অঞ্চলের একক প্রার্থী হয়ে মাঠে লড়ছেন। এ অবস্থায় মাঠে বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। তবে নিবার্চন সুষ্ঠু হলে সকলেই জয়ের আশাবাদী।
নবাবগঞ্জ উপজেলা: এখানে ১৪ টি ইউনিয়ন রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩লাখ ৪ হাজার। ভোটের মাঠে আগে থেকেই চষে বেড়াচ্ছেন নাসির উদ্দিন ঝিলু। এলাকার উন্নয়নে তার অংশীদারিত্ব এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অবস্থান রয়েছে বলে দাবী করেন। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান থাকায় তার প্রত্যাশা জনগণ তাকেই বেছে নিবে। এদিকে নবাবগঞ্জের পশ্চিম অঞ্চলের একক প্রার্থী ডা. বাবুল মিয়া মনে করছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি আঞ্চলিক টানে জনগণের ব্যাপক সমর্থন পাবেন।
এছাড়া যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মনে করেন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক অবস্থান থাকায় সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে পাশে পাবেন। সেই দিক বিবেচনা করে যুবলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা তার হয়ে কাজ করবেন। তাই তিনিও জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।
এ অবস্থায় দোহার নবাবগঞ্জের সাধারণ ভোটার ও বিএনপি সমর্থকরা যাকে বেছে নিবেন তারাই জয়ের দিকে অগ্রসর হতে পারেন বলে সচেতন মহলের ধারণা।