Enter your email address below and subscribe to our newsletter

মার্কসবাদের তাত্ত্বিক গুরু ছিলেন হায়দার আকবর খান রনো

Share your love

আজহারুলহক.
হায়দার আকবর খান রনো একটি নাম। একটি ইতিহাস। বাংলাদেশেরএকজন কমিউনিষ্ট নেতা। মুক্তিযুদ্ধের একজনসংগঠক।অসাম্প্রদায়িক চিন্তাকেধারণ করে আজীবন কাজ করেছেন। পুর্ব পাকিস্থান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে কমিউনিষ্ট আন্দোলনের একজন খ্যাতনামাবুদ্ধা হিসেবেই রাজনীতির অঙ্গনে তারব্যাপক পরিচিতি ছিলো।

তিনি ছিলেন মার্কসবাদেরতত্বের প্রবক্তা। বাংলাদেশে যে কয়জন সাচ্ছা কমিউনিষ্ট ছিলেন। তারমধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। প্রবীণরাজনীতিক ও লেখক হায়দার আকবর খানরনো শুক্রবার দিবাগতরাত ২টায় পৃথিবীর মায়াত্যাগ করে চলে যানপর পারে। তারআত্মারপ্রতিগভীরশ্রদ্ধানিবেদনকরছি।
কাছে থেকে দেখাএকজনকমিউনিষ্ট: ৯৫ সালেরশুরুরদিকেআমিবামছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই। বাংলাদেশের কৃষকশ্রমিক ও মেহনতি জনতার লড়াই সংগ্রামের আরেক পুরোধা খন্দকার আলী আব্বাস। তার সান্নিধ্যে এসেই প্রথম রনো ভাইকে কাছে পাই। তখন তিনি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি করতেন। পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন। সংগঠনের প্রশিক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব নিয়ে সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন। রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণে রনো ভাই ছিলেন শ্রেণীসংগ্রামেরতাত্বিক গুরু। মার্কসবাদ লেনিনবাদের নানা প্রয়োগিক বিষয়ে তিনি আমাদের জ্ঞান দানে বা এ আর্দশের প্রতি অনুগতহতে উৎসাহ যোগাতেন। রনো ভাই ছিলেন একজন নির্লোভ ও মুক্তমনা মানুষ। মার্গীয়চিন্তা চেতনার আদর্শেরধারক এ মানুষটিকে দেখে সর্বদাই শ্রদ্ধাশীলহতাম। হাসি খুশি প্রানবন্তস্বচ্ছ চিন্তার অধিকারী। তাকে কখনো রাগতে দেখিনি বাকারো সঙ্গে উচ্চস্বরে কথাবলতেও দেখাযায়নি। আগাগোড়াই একজন ভদ্র মার্জিত ও সম্ভ্রান্ত বলে মনে হতো।

নো লোভ লালসাতাকে পরাস্ত করতে পারেনি। মৃত্যুরপুর্বে অনেকপ্রবীণকমিউনিষ্ট আর্দশচ্যুতহয়েছেন। কিন্তু রনোভাইছিলেনতারব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত। রাজনৈতিকআপোষকামীতায়তিনিকখনোপছন্দ করেননি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমার ক্ষুদ্র জীবনেকাছে থেকে অনেক কমিউনিষ্ট নেতাকে দেখেছি। কিন্তু হায়দার আকবর খান রনো ছিলেন সাবলীল চিন্তার মানুষ।জীবনের শেষ প্রান্তেএসেঅনেক নেতাইবুর্জোয়া শ্রেণীল লেজুর বৃতিকরেছেন। নানা সুবিধা গ্রহণকরেছেন। এমপি মন্ত্রীহওয়ার লোভ সামলাতে পারেনি।
রনো বলতেন‘আমরা কমিউনিষ্ট। আমরা অন্য জাতের মানুষ। বিশ্বের শ্রমজীবীমানুষের মুক্তির লড়াইয়ে কখনো আপোষ করবোনা”। তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সাম্প্রদায়িকবিষবাষ্পকে কখনোই পরোয়াকরেননি।তারআত্মারপ্রতিগভীরশ্রদ্ধা ও সমবেদনাপ্রকাশকরছি। কমরেড রনো ভাইয়ের স্ত্রী হাজেরা সুলতানাওআজীবন সর্বহারা শ্রেণীর মানুষের রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। কমরেড হায়দার আকবর খান রনোরজীবনাবসানে এদেশের কমউিনিষ্ট আন্দোলনে অপূরণীয় ক্ষতিহলো। স্বচ্ছ ভাবধারার বামপন্থীরা কখনোই তাকে ভুলতেপারবেনা। তাকে অনুসরণ করে সমাজতন্ত্রের মূলমন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আজকের নবীন কমরেডদেরএগিয়ে আসতে হবে। যদিও আজকে আর আগের মতো ত্যাগী নির্লোভ ও আর্দশিককর্মী তৈরী হচ্ছেনা। বর্তমান নেতৃত্বকে তাদের স্বার্থগতরাজনৈতিকবলয় থেকে বেরিয়েকমরেডঅমল সেন, কমরেডমতিন, কমরেডআলীআব্বাস ও কমরেড রনোর আর্দশ প্রতিষ্ঠা করাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। রনো ভাইয়ের শোককে শক্তিতে পরিণতকরে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের প্রত্যাশাই হোক আগামীদিনের রাজনীতির রণনীতিরণকৌশল।

Share your love
Sader Bhulo
Sader Bhulo
Articles: 174

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay informed and not overwhelmed, subscribe now!