Breaking News



Popular News



Enter your email address below and subscribe to our newsletter
ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
২৭ মার্চ, বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ধামরাই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মোকামটোলা এলাকার প্রবাসী ইব্রাহিম হোসেনের চারতলা ভবনের নীচ তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নান্নু মিয়া (৬২), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৮), মেয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস এর শিক্ষার্থী সাথী (২৩) ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগ (১৯)। তাদের বাড়ি ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকায়। তারা মোকামটোলা এলাকার আমেরিকাপ্রবাসী ইব্রাহিম মিয়ার চারতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনার পর ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে পাঠায়।
নুরুল ইসলামের ভাতিজা জানান, সেহরীর সময় খবর পাই আমরা, চাচী সেহরী রান্না করতে উঠলে তখন হয়তো বিস্ফোরণ হয়েছে, আমরা এসে দেখি ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘরের আসবাবপত্র সব পুড়ে গেছে, একটা মোটর সাইকেল ছিলো ঘরে সেটিও বিস্ফোরণ হয়ে পুড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ সুফিয়া বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ ও নুরুল ইসলাম নান্নুর ৪৮ শতাংশ আল হাদী সোহাগের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ওই দম্পতির মেয়ে নিশরাত জাহান সাথীর শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর রিফফাত আরা বলেন, ভোর রাত চারটার দিকে আগুনে দগ্ধ চারজন রোগী রিসিভ করা হয়, তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, ফ্ল্যাটটিতে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল, প্রাথমিক তদন্তে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছি।