উপজেলা নির্বাচন দোহার নবাবগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরাই মাঠে!
Share your love
সাদের হোসেন বুলু:
ঢাকার দোহার নবাবগঞ্জে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে আনা গোনা করছে শুধুই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। এর বাইরে অন্য রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কোনো আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দুই উপজেলায় প্রায় ১০/১২জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দোহার উপজেলা নির্বাচনে বেশ কয়েকজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে অংশ নেয়ার জন্য মাঠে কাজ করছে। তার মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক বেপারী, মাহমুদপুর ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক উজ্জামান, প্রকৌশলী মেহবুব কবির চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রকাশ করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে।
এবিষয়ে দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, বিগত ৯ বছর জনগনের পাশে ছিলাম তাদের জন্য কাজ করেছি। জনগন চাইলে আবার ও তাদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। এছাড়া উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক উজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।
উপরদিকে নবাবগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঠে রয়েছে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আরিফুর রহমান সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো, জালাল উদ্দিন, যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান আওলাদ হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুর আলম, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এনাম মেডিক্যাল কলেজের অন্যতম চিকিৎসক ডাঃ বাবুল মিয়া ও নবাবগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খন্দকার রুহুল আমীন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান মহোদয়ের সাবির্ক সহায়তায়
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়াম্যান হিসেবে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যস্তবায়ন করেছি। আগামী দিনেও এই উপজেলার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আরিফুর রহমান সিকদার বলেন, জনগণের ইচ্ছাই হচ্ছে মূল বিষয়। জনগন যদি মনে করেন, আমি নির্বাচিত হলে নবাবগঞ্জের উন্নয়ন হবে। তাহলে তারা চাইলে আমি নির্বাচনে অংশ নেব কারণ আমি উন্নয়নে বিশ^াস করি। নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো, জালাল উদ্দিন আগামি উপজেলা পরিশদ নিবাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়বেন বলে তার কর্মী সমর্থকরা জানায়। তবে তিনি বলেন, ভোটার ও দলের নেতাকর্মীরা চাইলে অবশ্যই নির্বাচন করবো। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান মহোদয়ের নির্দেশনা কি সেই দিকটাই মূল বিষয় ।
অপরদিকে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসিন দল আওয়ামী লীগের একাধীক চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকগন।
ফেইসবুক ও টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী প্রার্থীরা নিজ নিজ কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাস্কৃতিক কর্মকান্ডসহ জনকল্যাণ মূলক কাজে অংশ নিচ্ছেন।
রাজধানীর পাশ^বর্তী দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা দুটিতে আগামী নির্বাচনে কে হবেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা আর হিসাব নিকাশ। বাজার, পাড়া মহল্লায় চায়ের দোকানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি আলোচনা এখন তুঙ্গে। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে প্রার্থীরাও মাঠে প্রচার শুরু করেছেন।
অপরদিকে দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে এমনটাই মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে কথা হয় নবাবগঞ্জের শোল্লা ইউনিয়নের খতিয়া গ্রামের গৃহবধু হোসনেয়ারা বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে যারা আমাদেও এলাকার উন্নয়নে কাজ করবে তাদের ভোট দিব। অপরদিকে বান্দুরা ইউনিয়নের মো. হায়াত আলী বলেন, আমাদের পশ্চিম এলাকার উন্নয়নে আমরা যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিব বলে জানান।